Mar 02 2023, 11:49
'জারবেরা ফুলে'র চাষ
কুড়াঃ মূলতঃ প্রায় শিল্প বিহীন 'কৃষি নির্ভর' জেলা হিসেবেই পরিচিত লাল মাটির জেলা বাঁকুড়া। রুখা-শুখা এই বাঁকুড়ার বুকে ফসল ফলিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন এই জেলার একটা বড় অংশের মানুষ। গত কয়েক বছর আগেও এখানকার মানুষ ধান, গম, বিভিন্ন ধরণের তৈলবীজ আর আলুর বাইরে কোন কিছু চাষের কথা ভাবতে পারতেননা, এখন জেলা উদ্যাণ পালন দপ্তরের সৌজন্যে লাভজনক অন্যান্য বিকল্প চাষের দিকেও ঝুঁকছেন এখানকার কৃষিজীবি মানুষ।
তেমনই একটি 'জারবেরা ফুলে'র চাষ। রুক্ষ, শুস্ক এই জেলার মাটিতে এখন বিপুলভাবে এই বাহারি ফুলের চাষ শুরু হয়েছে, শুরু হয়েছে বানিজ্যিক উৎপাদনও। আর তাই এই চাষ করেই লাভের মুখও দেখছেন এখানকার অনেকেই। জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে খবর, আগে বড়জোড়ার মানাচর থেকে সোনামুখীর রণডিহা এলাকা পর্যন্ত গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডুলাস সহ অন্যান্য ফুলের চাষ হলেও জারবেরা ফুলের চাষ হয়নি। এই অবস্থায় জেলার চাষীদের দিয়ে এই লাভছনক ফুলের চাষ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথমে কোতুলপুরের জয়রামবাটির কাছে পানাহার গ্রামে পলি হাউস তৈরী করে প্রথম জারবেরা ফুলের চাষ হয়। পরে বর্তমানে খাতড়ার সুপুর, শময়িতা মঠ, বাঁকুড়া-১ ব্লকের দামোদরপুর সহ বিভিন্ন জায়গাতেও জারবেরার বানিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
জারবেরা ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত অজিত কোটাল, কার্তিক দত্তরা বলেন, পলি হাউসের মাধ্যমে বারো মাস এই ফুলের চাষ করতে হয়। জলের খরচ নেই বললেই চলে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও দাম থাকায় জারবেরা ফুলের চাষ যথেষ্ট লাভজনক বলেই তাঁরা জানান।
জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের ফিল্ড অফিসার সঞ্জয় সেনগুপ্ত বলেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই জেলার চাষীদের জারবেরা ফুলের চাষের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছিল, অবশেষে সাফল্য এসেছে। এই ফুল চাষ করার জন্য সরকারীভাবে খরচের পঞ্চাশ অর্থ সহায়তা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন অংশের কৃষিজীবি মানুষ এখন এই ফুলের চাষ করছেন। এখানকার উৎপাদিত জারবেরা কলকাতার নিউ মার্কেট সহ অন্যান্য জেলায় রপ্তানী হচ্ছে। এই মুহূর্তে এক একটি জারবেরা ফুলের বাজারমূল্য ৮ টাকা, তবে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ঐ দাম ১৫ থেকে ১৬ টাকাতে পৌঁছে যায় বলে তিনি জানান।
Mar 02 2023, 13:12